খালাফ হত্যা: সাইফুলের মৃত্যুদণ্ড বহাল
ঢাকায় সৌদি আরবের দূতাবাস কর্মকর্তা খালাফ আল আলীকে হত্যার দায়ে আসামি সাইফুল ইসলামের মৃত্যুদণ্ডসহ হাইকোর্টের রায় বহাল রেখেছে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
এর ফলে অন্য তিন আসামি আল আমিন, আকবর আলী লালু ওরফে রনি ও রফিকুল ইসলাম খোকনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বহাল থাকছে। আর, ৫ আসামির মধ্যে পলাতক সেলিম চৌধুরী ওরফে সেলিম আহমেদকে খালাস দেয়া হয়েছে।
দু'দফা শুনানির পর বুধবার সকালে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আপিলের চূড়ান্ত রায় দেয় দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি মো. আব্দুল ওয়াহহাব মিয়ার নেতৃত্বে তিন বিচারপতির আপিল বেঞ্চ।
ঢাকায় সৌদি দূতাবাসের কর্মকর্তা খালাফ আল আলী হত্যা মামলায় হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে করা আপিলে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি সাইফুলের পক্ষে পুনঃ শুনানি শেষ হয়। বুধবার রায়ের দিন ঠিক করে আপিল বিভাগ।
মঙ্গলবার দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞার নেতৃত্বে তিন বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ দিন দেয়।
এর আগে গত ২০ আগস্ট শুনানি শেষে রায়ের ১০ অক্টোবর দিন ধার্য করে আদালত। তবে রায় প্রস্তুত না হওয়ায় ওই দিন নতুন করে ১৭ অক্টোবর দিন নির্ধারণ করে আদালত। এ পর্যায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি সাইফুল ইসলামের পক্ষে শুনানির জন্য একটি আবেদন করা হয়। ওই আবেদন আমলে নিয়ে আপিল বিভাগ রায় ঘোষণা না করে ৩১ অক্টোবর পুনঃশুনানির দিন ঠিক করে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১২ সালের ৫ মার্চ রাত ১টায় রাজধানীর গুলশানের কূটনীতিক এলাকায় নিজ বাসার অদূরে গুলিবিদ্ধ হন খালাফ আল আলী। ৬ মার্চ ভোরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু মারা যান তিনি।
এ ঘটনায় ৭ মার্চ গুলশান থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোশারফ হোসেন হত্যা মামলা করেন। ওই মামলায় একই বছরের ৩০ ডিসেম্বর রায় দেয় ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৪। রায়ে মামলার পাঁচ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়।
তার হলেন: সেলিম চৌধুরী মামলার শুরু থেকেই পলাতক ছিলেন। সাজাপ্রাপ্ত চার আসামি ওই বছরই রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন। ২০১৩ সালের ১৮ নভেম্বর আপিলের বিষয়ে রায় দেয় হাইকোর্ট। রায়ে সাইফুল ইসলামের মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখা হয়। এ ছাড়া আসামি মো. আল আমীন, আকবর আলী লালু ও রফিকুল ইসলামের সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়। পলাতক সেলিম চৌধুরী খালাস পান। ওই রায়ের বিরুদ্ধে ২০১৪ সালে আপিল করে রাষ্ট্রপক্ষ।